স্বস্তিতে নওশাদ, ধর্ষণের অভিযোগে আইএসএফ বিধায়ককে রক্ষাকবচ আদালতের

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল  সেই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইএসএফ বিধায়ক। বুধবার এই মামলাতেই এবার নওশাদকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার শুনানির পর এই নির্দেশ বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চের। আদালত সূত্রে খবর, বুধবার নওশাদকে রক্ষাকবচ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, আগামী ১৮ জুলাই এই মামলার পরবরতী শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবেন না পুলিশ। ভাঙড়ে একের পর এক সংঘর্ষে যখন তপ্ত রাজ্য রাজনীতি, তখন এই রায় নওশাদের জন্য স্বস্তির বলেই মনে করছে আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই নওশাদের বিরুদ্ধে নিউটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। সেই সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিতি ছিলেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন সব্যসাচী। পরবর্তী সময়ে বউবাজার থানায় নওশাদের বিরুদ্ধে রুজু হয় ধর্ষণের মামলা। ধর্ষণের মামলা রুজু হওয়ার পরদিন মেট্রোপলিটন কোর্টের বিচারক জু্ঁই দত্তের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন অভিযোগকারী তরুণী। এই পুলিশি পদক্ষেপকে ‘অতি সক্রিয়তা’ হিসেবেই দেখেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার এই পুলিশি পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন।

যদিও প্রথম থেকেই গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছে আইএসএফ। এ প্রসঙ্গে নওশাদ জানান,’এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। আইনি পথেই বিষয়টি নিয়ে লড়াই হবে।’ সেই মতো হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। আগামী দিনে আদালতে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।

এদিকে আবার নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হওয়ার পর অভিযোগকারীর তরুণীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে অভিযোগকারী তরুণীর একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরতে থাকে। এমনকী তৃণমূলের বিভিন্ন সমাবেশেও তাঁর উপস্থিতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগকারী ডোমকল শহর তৃণমূলের একজন পদাধিকারী ছিলেন এই তথ্যও সামনে আসে।

যদিও ঘটনার পর অভিযোগকারীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করে শাসকদল। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাওনী সিংহ রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘নওশাদের নামে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। আইন আইনের পখে চলবে। কিন্তু অভিযোগকারীকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি না। তৃণমূল করেন কি না, বলতে পারব না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fifteen =