কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে আদালত অবমাননা মামলার শুনানিতে কমিশনকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দেয়। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ জুন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই হলফনামা দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সেই হলফনামায় কমিশনকে জানাতে হবে, কেন ২০ হাজারের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার হল সেই প্রসঙ্গে। পাশাপাশি ক্যানিং-১ ব্লকের ২৭৪টি আসনে একটি দলের প্রার্থী কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তাও উল্লেখ করতে হবে এই হলফনামায়। একইসঙ্গে মিনাখাঁর যে প্রার্থী সৌদি আরব থেকে মনোনয়ন জমা দেন, কীভাবে বিদেশে থেকে প্রার্থীপদে তিনি মনোনয়ন দিলেন তারও উল্লেখ থাকবে হলফনামায়। এছাড়া চারদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, এই সব কিছুরই উল্লেখ থাকতে হবে কমিশনের এই হলফনামায়।
এরপর এই হলফনামা দেখেই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, মামলাকারীর আবেদন মতো এই বাহিনী মামলায় স্বাধীন পর্যবেক্ষক অর্থাৎ অবসর প্রারপ্ত কোনও বিচারপতিকে নিয়োগ করা হবে কি না তা নিয়ে। এছাড়া মামলাকারী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৪টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর আবেদনও করেন। সে ব্যাপারেও কমিশনের মত কি তা জানাতে হবে কমিশনের এই হলফনামায়।
প্রসঙ্গত, মনোনয়নে পবঙ্গে মাটিতে রক্ত ঝরার সময় থেকেই বিরোধী শিপবির থেকে দাবি ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ২২ জেলাকে মুড়ে ভোট করাক কমিশন। প্রথমে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করানোর পরিকল্পনা ছিল কমিশনের। অর্থাৎ জেলা পিছু একটি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোম্পানি মোতায়েন করা হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তে মোটেই রাজি হয়নি বিরোধী শিবির। বরং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আরও চাপ বাড়ায় বিরোধীরা। হাইকোর্টে এই ইস্যুতে হতে তাকে একের পর এক মামলা।এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয় কমিশনের তরফে। যদিও এখনও অবধি ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাকি বাহিনী যাতে দ্রুত পাঠানো হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠিও লিখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, এমনটাই সূত্রে খবর।