ট্যাংরার হেলে পড়া বহুতল ফাঁকা করতে এবার একের পর এক পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। বহুতল আবাসনের এই হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসতেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিস্টোফার রোডের ওই আবাসন ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ। আচমকা এই ঘটনায় মাথায় হাত বাসিন্দাদের। এই অল্প সময়ে কোথায় যাবেন, কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। এদিন সকালে আচমকাই দেখা যায় ক্রিস্টোফার রোডের নির্মীয়মাণ আবাসনটি হেলে পড়েছে। বহুতলের ভিতরে কাজ চললেও একাধিক পরিবার সেখানে থাকতে শুরু করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল শোরগোল পড়ে যায়। বাঘাযতীন কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করে পুরসভা। রাতেই ওই আবাসন ফাঁকা করার নোটিস দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, ওই বহুতলের চার ও পাঁচতলায় বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। অবিলম্বে তা ভাঙা হবে, তাই দ্রুত ফাঁকা করতে হবে আবাসন। এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়েছে।
কিন্তু রাতারাতি এই ঘটনায় সমস্যায় আবাসিকরা। যাদের জমিতে এই বহুতল তৈরি হয়েছিল, তাঁদের কথায়, ‘আমরা জমি দিয়েছিলাম। প্রোমোটার ফ্ল্যাট তৈরি করেছে। এই ঘটনার পর পুরসভা বলছে, ভেঙে ফেলবে। যদি তৈরিতেই গলদ থাকে তাহলে সেটা তো দেখার কথা পুরসভার।’ সঙ্গে এ প্রশ্নও তাঁরা করছেন, ‘এতদিন কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি তা নিয়েও। পাশাপাশি তাঁদের সংযোজন, মুহূর্তের মধ্যে মাথার উপরের ছাদ সরে গেল, এবার তাঁরা কোথা৪য় যাবেন তা নিয়েও। কোথায়-ই বা থাকবেন তা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভা আগে ব্যবস্থা নিলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।