বেহাল রাস্তা নিয়ে চিন্তা কলকাতা পুরসভার। রাস্তা মেরামত করা হলেও নিম্নমানের সামগ্রীতে তা বেশিদিন টিকছে না। সেটাই চিন্তার মূলত কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসনের। কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন বিভিন্ন অংশ, কলকাতা বন্দর এর আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন রাস্তা, বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোড, উত্তর কলকাতার বিভিন্ন রাস্তার অবস্থা এখনও বেহাল। যেগুলি গত সপ্তাহে জোড়াতাপ্পি দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি হতে না হতেই সেগুলি ধুয়ে মুছে সাফ। তাতেই উদ্বেগ এবং অস্বস্তি দুটোই বেড়েছে কলকাতা পুরসভার।
এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুরসভায় প্রাক দুর্গাপুজো বৈঠকও হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ, রেল, কলকাতা বন্দর, পূর্ত দপ্তর, কেএমডিএ, কেইআইপি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলির আধিকারিকরা। এদিনের বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে মূলত রাস্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রাস্তায় যেভাবে খানাখন্দের কারণে মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে, তাতে পুজোর আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু না করলে চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টির কথা ভেবেই উচ্চমানের পিচ ব্যবহার না হলে, সমস্যা আরও প্রকট হবে বলেই মনে করছেন কলকাতা পুরসভার সড়ক বিভাগের বিশেষজ্ঞরা।
এই পরামর্শ শোনার পরই বৈঠকেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন, যাদের হাতে যে পরিমাণ রাস্তা রয়েছে, তারা যেন সেই রাস্তার উপরে ঠিকভাবে তদারকি করে মেরামতের কাজ শেষ করেন। জোড়া-তাপ্পি দিয়ে মেরামত নয়, সারাই করতে হবে একেবারে গোড়া থেকেই।
এদিকে আদালতের নির্দেশে ম্যাসটিক আসফল্ট ব্যবহার করতে পারে না কলকাতা পুরসভা। সে কারণে পিচের সঙ্গে প্লাস্টিক ব্যবহার করে নয়া পদ্ধতিতে বেশ কিছু রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু তা বেশ খরচ সাপেক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই শহরজুড়ে এই বিশাল পরিমাণ রাস্তার মেরামত করতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হবে পুরসভার কর্তাদের এমনটাই ধারনা প্রশাসনিক মহলের। কারণ, একদম সঠিক পন্থায় রাস্তা মেরামত করতে গেলে যে পরিমাণ খরচ করতে হবে পুরসভাকে, তা ভাঁড়ারে নেই। সে কারণেই জোড়া-তাপ্পিই শেষ সম্বল। এরই পাশাপাশি এই বৈঠক থেকে মেয়র রাস্তা নিয়ে বিশেষ সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা, পুরসভা, কেএমডিএ, পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের।