আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ওঠা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগের তদন্তে এবার কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, ক্রমশ এই অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভাঙড়ের বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে বউবাজার থানায়।
মধ্য কলকাতার বউবাজার থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, দেড় বছর আগে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের অফিসে মহিলা অভিযোগকারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। এরপর থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায়শই সহবাস করতেন এই আইএসএফ বিধায়ক। অভিযোগকারী মহিলা যখন বিয়ের জন্য চাপ দেন, তখনই অভিযুক্ত এড়িয়ে যেতে থাকেন ও ওই মহিলাকে হুমকি দেন।
লালবাজারে এক কর্তা জানান, প্রথমে নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানান ওই মহিলা। এরপর বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (নিউ টাউন ডিভিশন)-এর মাধ্যমে সেই অভিযোগপত্র কলকাতা পুলিশের কাছে এসে পৌঁছয়। এরপরই বউবাজার থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, ঘরে আটকে রাখা, হুমকির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছে।
অভিযোগকারী মহিলা এও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে নওশাদ তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও তোলেন তিনি। তবে আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় কবে, কীভাবে ঘনিষ্ঠতা তা নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। বরং উল্টে অভিযোগকারীর দাবি, ‘আপনাদের যা জানার নওশাদকে জিজ্ঞেস করুন।’
এরই প্রত্যত্তরে পালটা ভাঙড়ের বিধায়ক প্রায় হুমকির সুরে জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ এনেছিল। গ্রেপ্তারও করেছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু আটকে রাখতে পারেনি। তাই ভোটের মুখে এসব করা হচ্ছে। আমি মুখ খুললে অনেকের বিপদ হবে।’