সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজোকে নোটিস দিল কলকাতা পুলিশ

সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজোকে নোটিস দিল কলকাতা পুলিশ। এই বছরের দুর্গাপুজোর থিম তাদের কী তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পুজোর সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেবে তারা সেই মর্মেও নোটিসের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বড় বড় পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশ্যে বার্তা দেন তিনি। ভিড়ের চাপে যাতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা না ঘটে সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটির সদস্যগুলিদের অনুরোধ করেন যাতে পুজোর থিম তাঁরা আগাম পুলিশকে জানিয়ে রাখেন। এতে ভিড় সামলাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুবিধা হবে বলেই মনে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মমতার এই ঘোষণার পরই এমন পদক্ষেপ করে কলকাতা পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত বছর রাম মন্দির বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং এসেছিলেন উদ্বোধনে। লেজার লাইটের আলোয় মণ্ডপ ছিল দেখার মতো। মহালয়ার দিন থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন। ষষ্ঠী, সপ্তমীতে কার্যত জনপ্লাবন তৈরি হয়। ভিড়ের চাপ সামলাতে পরে মণ্ডপ বন্ধ রাখতে হয় বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের এই পুজোকে।

তবে একা সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার নয়, রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোও বন্ধ করতে হয়েছিল একবার। সেই সময় বুর্জ খালিফার আদলে বানানো হয়েছিল মণ্ডপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে এই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্যই নির্দেশ দেন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ সহ ক্লাব কমিটিগুলিকে। একাধিক প্রবেশ ও প্রস্থান গেট বানানো সহ ভিড়ের চাপে যাতে কোনও পদপিষ্টের ঘটনা না ঘটে তা নজরে রাখার কথা বলেন তিনি। এরই রেশ ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ‘ক্লাবগুলিকে বলব কোন পুজোর কী থিম পুলিশকে শেয়ার করুন। আমি জানি অনেক ক্লাব আগেভাগে থিম জানাতে চান না। তবুও পুলিশকে জানিয়ে রাখলে সুবিধা হয়। আমি এক সংবাদপত্রে দেখেছি কেউ নাকি ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো করছে। ভাবতে পারেন? এতে পদপিষ্ট হয়ে যাবে। আমি লাইটিং, লেজারের খেলা করলাম। এতে বিমান দুর্ঘটনা হতে পারে। অন্য মানুষের ক্ষতি হতে পারে।’

মমতার এই নির্দেশের পরই সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারকে থিম জানানোর নোটিস দেয় কলকাতা পুলিশ। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। এ প্রসঙ্গে সজল ঘোষ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন থিম শেয়ার করতে হবে। আর থানার পুলিশ বলে দিচ্ছে কোনটা করতে হবে। ওরা অনুরোধ করতে পারে, জোর করতে পারে না আমায়, আমি কী করব। ওরা বলছে নাগরদোলা চলবে না মেলায়। তাহলে তো সবজায়গার জন্য একই নিয়ম বর্তায়। কালীপুজোয় নাগরদোলা চলতে পারে অথচ দুর্গাপুজোয় না? এ কেমন আইন?’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =