আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ডাকে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান। আর তা নিয়ে রীতিমতো রণসাজে সজ্জিত কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিছিল আটকাতে ২৫ জন উপ-নগরপালের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নবান্নের সামনে কড়া নিরাপত্তা, পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘যাঁরা আজকে মিছিলে আসছেন, তাঁদের পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বলছি, শান্তিপূর্ণ এবং আইনসিদ্ধ আন্দোলনে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। তার সঙ্গে এটাও অনুরোধ করছি, আইন মেনে মিছিল করুন। রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্ন তার সংলগ্ন এলাকায় ১৬৩ ধারা লাগু থাকে। সেই ধারা অনুযায়ী সেখানে পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত করা আইনত নিষিদ্ধ। এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।’
রেস কোর্স থেকে খিদিরপুর ব্রিজ হয়ে নবান্নে যাওয়ার রাস্তায় যেখানে পুলিশের ব্যারিকেড করা হয়েছে । সেখানে পুলিশের তরফে মাইকিং হচ্ছে। হাওড়া সেতুর কলকাতার দিকের অংশ-সহ পাঁচ জায়গায় থাকছে অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল। যার সঙ্গে থাকবে কাঠের সিজার ব্যারিকেড। হাওড়ার দিকে নবান্নে যাওয়ার পথে চার জায়গায় লোহার ব্যারিকেড তৈরি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোতায়েন প্রায় ছয় হাজার পুলিশকর্মী। নিরাপত্তার জোরদার বলয়ে নবান্ন এখন নিশ্ছিদ্র দুর্গ। মাছি গলার উপায় নেই। প্রস্তুত জল কামান, কাঁদানে গ্যাস। মোতায়েন কমব্যাট ফোর্স।তবে এদিনের এই নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা পুলিস-প্রশাসনের। কারণ, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে নবান্ন অভিমুখে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। আর তাতেই উত্তেজনার আশঙ্কা। এদিকে ছাত্র সমাজ-এর ডাকা নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি রাজ্য পুলিশ। তার পরেও প্রস্তুতিতে খামতি রাখছে না কলকাতা পুলিশ।