১ জুনের নির্বাচনে কলকাতা পুলিশের কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব। কারণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকা লালবাজারের অধীনে চলে আসায় এবার মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট সামলাতে হবে কলকাতা পুলিশকে। সঙ্গে রয়েছে কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণের মতো লোকসভা কেন্দ্রের পুরোটাই। এছাড়াও যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছুটা করে অংশ রয়েছে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায়।
সপ্তম বা শেষ দফায় ভোট রয়েছে কলকাতা পুলিশের ওই পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে। সেই দফায় মোট ন’টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এদিকে এই ১ জুনের ভোটগ্রহণে আসছে প্রায় ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। চতুর্থ বা পঞ্চম দফার ভোটের পর থেকেই তারা শহরে আসতে শুরু করবে জেলা থেকে। সূত্রের খবর, শেষ দফার ভোট গ্রহণের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে প্রায় হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই প্রসঙ্গে লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কমবেশি ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে কলকাতায়। এই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন লালবাজারের কর্তারা। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং কমিউনিটি হলে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা পুলিশ এলাকার ভোটের জন্য এসেছিল ১৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার ভাঙড় যুক্ত হওয়ার ফলে এলাকার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় এ বার মোট বুথের সংখ্যা থাকছে ৫১৫৮। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ১৯৪০টি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার বুথের সংখ্যা কমে গেলেও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সমস্ত বুথ এবং ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া, এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য থাকছে কিউআরটি বা কুইক রেসপন্স টিম। যাতে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও থাকবেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় একটি বুথ রয়েছে, এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ২৮৫টি। দু’টি বুথ রয়েছে, এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৪। তিনটি এবং চারটি বুথ নিয়ে গঠিত ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩১ এবং ২৮৭। সর্বাধিক ১৫টি বুথ রয়েছে দু’টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। তবে, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে একটি সূত্রের দাবি। এদিকে লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকায় স্ট্রং রুমের সংখ্যা এ বার ১৪। এ ছাড়া, ডেসপ্যাচ সেন্টার ও রিসিভিং সেন্টারের সংখ্যা যথাক্রমে ১৩ এবং ১৪। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র এবং কিউআরটি-র বাইরে স্ট্রং রুমে ইভিএম পাহারাতেও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।