বেশ চাপে বাংলাদেশের বাসিন্দারা। কারণ যে তিনটি ট্রেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে সেই ট্রেনগুলি বাতিল করা হচ্ছে। ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালি এক্সপ্রেস। এই তিনটি ট্রেনের ভাড়া বাড়বে বলে সদ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপর তা পাওয়াও যাবে না বলে খবর। এই তিনটি আন্তঃদেশীয় ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে। কারণ সামনেই ইদ–উল–আজহা। তখন এই তিনটি ট্রেন বাতিল থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কদিন আগেই পালিত হয় পবিত্র ইদ–উল–ফিতর। তখনও ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে এই তিনটি ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
কিন্তু ইদ–উল–আজহা চলাকালীন তো কেউ অসুস্থ হতে পারেন। চিকিৎসা করার জন্য ভারতে তখন যাওয়া যাবে না? উঠছে প্রশ্ন। ভারত যেতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু সেটা ট্রেন সফর করে যাওয়া যাবে না। তাহলে বিকল্প পথ বলতে সড়কপথ আর আকাশপথ। আগামী ১৭ তারিখে ভারতের মতোই বাংলাদেশেও পালিত হবে ইদ–উল–আজহা। তখন বাংলাদশের অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। একাধিক রুটে ট্রেনের যাত্রা সঠিক রাখতে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে চলা তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখা হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত–বাংলাদেশের রেলওয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই তিনটি ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তখন ঢাকা–কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস, খুলনা এবং কলকাতায় যাওয়ার বন্ধন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা–নিউ জলপাইগুড়ি রুটের মিতালি এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে। ইদের আগে এবং পরে প্রত্যেক বছরই আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি বন্ধ থাকে। রেল কর্মীদের উপর চাপ কমাতেই ইদের সময় ট্রেনযাত্রা নির্বিঘ্ন করা হয়। এবার কোন ট্রেন কত দিন বন্ধ থাকবে সেটার প্রস্তাব ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি সফর সূচিতে কিছু পরিবার্তন আনা হয়। বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভারতীয় রেল তাতে রাজি হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, আগামী ১৪ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৬ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধন এক্সপ্রেস এবং ১২ থেকে ২০ জুন মিতালি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। ইদ–উল–আজহা মিটে গেলে আবার আগের মতই যাতায়াত করবে ট্রেনগুলি।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ১৪, ১৬, ১৮ এবং ২১ জুন বাতিল করা হয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৫, ১৭, ১৯ এবং ২২ জুন যাতায়াত করবে না। খুলনা ও কলকাতার মধ্যে চলা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৬ এবং ২০ জুন বাতিল করা হয়েছে। বেড়েছে ভাড়া মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালি এক্সপ্রেসের। তবে এই বাতিলের খবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে। জুন মাস থেকেই ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে।