মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তার নেওয়ার ঘটনাও সামনে এল এবার। উত্তর পেলেও তা টুকতে গিয়ে শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে গার্ডদের হাতে। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলার শিক্ষাবিদেরা।২০২৫-এ মাধ্যমিকে টুকলি রুখতে শুরু থেকেই কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা শুনিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর সেই কারণে বিশেষ নজরও ছিল কিছু জেলায়। কিন্তু তারপরেও টুকলি করা আটকানো গেল কি না তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে পরীক্ষা শুরুর আগেই জানানো হয়েছিল ২০২৫-এর মাধ্যমিকে ২৬৮৩ পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার পরীক্ষায় বসার কথা ছিল ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থীর। আর এই তথ্য সংবাদ বৈঠক করে দিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং। তখনই সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়েছিলেন কোনও স্মার্ট গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না পরীক্ষার্থীরা। ধরা পড়লেই তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা বাতিল।
এরপর শনিবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই সাংবাদিক বৈঠক করলেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান, এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট ১৯টি স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। একটি স্মার্ট ঘড়িও উদ্ধার হয়েছে। এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর হয়ে তার দিদি পরীক্ষা দিতে এসে যে ধরা পড়েছেন তাও আলাদা করে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এরপরই জানান আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
যে ১৯টি স্মার্টফোন ধরা পড়েছে তার মধ্যে একটিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা এআই নির্ভর অ্য়াপ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রে খবর, মেটিয়াবুরুজের একটি স্কুলের এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এই মোবাইল উদ্ধার হয়। সেখানেই এআই প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি অ্য়াপের খোঁজ মেলে। ওই অ্যাপেই ওই ছাত্র মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিল। অ্যাপটি অঙ্ক কষেও দিয়েছিল। তা দেখে টুকতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত গার্ডদের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই ছাত্র। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলের অন্দরে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সবক্ষেত্রেই বেড়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট। আর এবার তার প্রয়োগ একেবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার আসরেও।