এসএসসির  বিধি চ্যালেঞ্জ করে মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে

এসএসসির  বিধি চ্যালেঞ্জ করে মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। দায়ের হলো এসএলপি। মামলা করলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। শীর্ষ আদালতে আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।অর্থাত্,  স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে ফের আইনি লড়াই শুরু হল। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এই নিয়োগ বিধিকে বৈধতা দিলেও, তাতে সন্তুষ্ট নন একাংশ চাকরিপ্রার্থী।

প্রসঙ্গত, ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পরে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ৩০ মে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি। অনলাইন আবেদন শুরু হয় ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে এবং প্রাথমিকভাবে আবেদনের শেষ দিন নির্ধারিত ছিল ১৪ জুলাই। পরবর্তীতে এই সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ২১ জুলাই পর্যন্ত।

এদিকে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একাধিক শর্ত এবং নতুন বিধি সংযোজন নিয়ে উঠে আসে প্রশ্ন। হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ তোলা হয়, ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় হওয়া নিয়োগ, ২০২৫ সালের নিয়মে করা যাবে না। যাঁরা বয়সে ছাড় পাননি, কিংবা যাঁদের নম্বর কম, তাঁদের প্রতি অবিচার হচ্ছে বলেই অভিযোগ ছিল মামলাকারীদের।

তাঁদের দাবি, বয়সে ছাড়, শূন্যপদ বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিষয়টি ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ছিল না। তাই নতুন করে এই নিয়ম কার্যকর হলে তা অযৌক্তিক ও পক্ষপাতদুষ্ট হবে। পাশাপাশি, নিয়োগের জন্য ন্যূনতম নম্বরের মানদণ্ড ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয় বলে অভিযোগ।

তবে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই মামলাগুলি খারিজ করে দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘কমিশন ও পর্ষদ এই অচলাবস্থার জন্য দায়ী হলেও, দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করাটাই এখন অগ্রাধিকার। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করলে সমস্যা আরও বাড়বে।এর পাশাপাশি আদালত আরও জানায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, অযোগ্য বা দাগি নন এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের বয়সে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি প্রযোজ্য। অন্য কাউকে এই ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়নি। মামলাকারীরা এই দুটি ক্যাটেগরিতে পড়েন না।

তবে কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নতুন নিয়ম তৈরি করতে পারে, এবং ভবিষ্যতে শূন্যপদ বাড়ানোতেও কোনও বাধা নেই বলেই জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায় অনুযায়ী, ১০ নম্বর অতিরিক্ত নম্বর ও বয়সে ছাড় সংক্রান্ত বিধিগুলিও সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হিসেবে বৈধতা পায়। তবে এই রায় মেনে নিতে পারেননি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাই তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। তাঁদের বক্তব্য, নতুন নিয়মে পুরনো প্রার্থীদের প্রতি অবিচার হচ্ছে এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়।ফলে এখন সবার নজর শীর্ষ আদালতের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 7 =