ফের জটিলতা বাড়তে পারে কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়ায়। কারণ, চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়ক নতুন বিজ্ঞপ্তির উপরেও স্থগিতাদেশ দেয়।
এদিকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে খোলা হয়েছে ভর্তির পোর্টাল, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা গেল এক আইনজীবীকে। এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। মামলাকারীর বক্তব্য, ওবিসি সংক্রান্ত মামলায় আদালতের নির্দেশ না মেনেই ভর্তির পোর্টাল খোলা হয়েছে। ওবিসি–এ এবং ওবিসি–বি শ্রেণিবিন্যাসের কথাও রয়েছে ওই পোর্টালে।
এদিকে এই সমস্যায় অথৈ জলে হায়ার সেকেন্ডারি অর্থাত্ দ্বাদশ শ্রেণির উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা। কারণ, গত ৭ মে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে।জুনের মাঝামাঝি হয়ে গেলেও কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। আর এই কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরপর এই টানাপোড়েনের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের ১ মাস ১১ দিনের মাথায় কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত ১৮ জুন থেকে অনলাইনে আবেদনের জন্য সেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিশন পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়েছে।প্রথম দফায় অনলাইনে আবেদন করা যাবে ১ জুলাই পর্যন্ত। পড়ুয়া পছন্দের সর্বোচ্চ ২৫টি কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। এই বছর ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ৪৬০ কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। তবে সেন্ট্রালাইজড এই ভর্তি ব্যবস্থার বাইরে থাকছে প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর এবং স্বায়ত্তশাসিত কলেজগুলি। সংখ্যালঘু কলেজ, আইন কলেজও এই ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকছে। তবে এই মামলার জেরে আবার কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া মুখ থুবড়ে পড়ে কি না এখন সেটাই দেখার।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এই মামলায মঙ্গলবার ফের দৃষ্টি আকর্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।