প্রাথমিক ৩২০০০ চাকরি বাতিল মামলা। ২৮ এপ্রিল মামলার মূল পর্বের শুনানি শুরু হবে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন বেঞ্চে। জানিয়ে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। গত ৭ এপ্রিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তবে তা হয়নি কারণ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি সৌমেন সেন।
প্রসঙ্গত,‘অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই নিয়োগের পাশাপাশি সংরক্ষণ নীতি না মানা একাধিক কারণে ৩২০০০ চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। ২০২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের। দুর্নীতির দায়ে রাতারাতি ফাঁড়া নেমে এসেছিল তাদের জীবনে। পরবর্তীতে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে আপিল করে রাজ্য। এবার সেই শুনানিই হবে আগামী সপ্তাহে।সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ডিভিশন বেঞ্চে আপাতত চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ রয়েছে। সোমবার জানা যায় কোন বেঞ্চে এবং কবে সেই মামলার শুনানি হবে। এদিকে বিচারপতি সৌমেন সেন ব্যাক্তিগত কারণে মামলা ছাড়ায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানির জন্য পাঠায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনম।
২০১৬ সালে এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। আশঙ্কা ছিল, প্রাথমিকের মামলাতেও এমন কিছু রায় আসতে পারে। তবে মামলার শুনানি আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে। এবার দেখার আগামী সোমবার কী রায় দেয় আদালত।