এবার থেকে ফুটপাথ বা রাস্তার পাশে আর ক্যাশ ভ্যানকে দাঁড় করানো যাবে না, এমনটাই নির্দেশ কলকাতা পুলিশের। পার্কিং প্লেস থাকলে ক্যাশ ভ্যানকে দাঁড় করাতে হবে আবসন বা শপিং মল চত্বরেই। কারণ, গত সোমবার পার্ক সার্কাসের কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লুঠের ঘটনায় উঠেছে নানা প্রশ্ন। কেন শপিং মল চত্বরে ক্যাশ ভ্যান না রেখে বাইরে রাস্তার পাশে রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। এই ব্যাপারে শপিং মলের কর্মী, মলের যে দোকানের টাকা লুঠ হয়েছে, তার কর্তা ও কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষী সংস্থার কর্মীদেরও পুলিশ জেরা করে। পুলিশের ধারণা, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে কোনও ‘টিপার’। ওই ব্যক্তি লুঠেরাদের খবর দিয়েছে, এমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এবার থেকে যে নিরাপত্তারক্ষী সংস্থাগুলো ব্যাঙ্ক, শপিং মল, বিদ্যুৎ সংস্থা বা অন্য সংস্থা থেকে বেশি পরিমাণ টাকা ক্যাশ ভ্যানে করে নিয়ে যায়, সেই সংস্থাগুলোকে বলা হচ্ছে, ক্যাশ ভ্যানগুলো যতটা সম্ভব যেন রাস্তার উপর পার্ক না করা হয়। যেখানে কোনও চত্বরের ভিতর ভ্যান রাখার সুযোগ রয়েছে, ক্যাশ ভ্যানগুলো যেন অবশ্যই চত্বরে রাখা হয়। যাঁরা নগদ টাকা ভর্তি ট্রাঙ্ক, বাক্স বা ব্যাগ নিয়ে ভ্যানে রাখবেন, তাঁদের ফুটপাথে গাড়ি না রাখারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার কেউ ফুটপাথে গাড়ি যদি রাখতে বাধ্য হন, তবে তিনি যেন উলটোদিকের ফুটপাথে না রাখেন। তাতে ঝুঁকি বাড়ে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।
বলে রাখা ভালো, সোমবার পার্ক সার্কাসে সিএসটিসি ও একটি শপিং মলের নামী ব্র্যান্ডের দোকান থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ওই কালেকশন টিম। এরপর একটি ব্যাগে করে টাকা নিয়ে শপিং মল থেকে ফুটপাথে নামেন কালেকশন টিমের কর্মী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গানম্যান বা অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী। হঠাৎই পার্ক সার্কাসের দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে আসে ওই বাইকটি। বাইকে ছিল দুই দুষ্কৃতী। রাস্তায় দাঁড়ানো ক্যাশ ভ্যানে টাকার ব্যাগ রাখার আগেই তা ছিনিয়ে লুঠ করে বাইকের পিছনে বসা আরোহী। অস্ত্রধারী ওই নিরাপত্তারক্ষী কিছু বোঝার আগেই ওই বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায়। কড়েয়া থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের চারটি টিম তদন্ত করে বাইকটি শনাক্ত করার চেষ্টা করে। পার্ক সার্কাসের ঘটনার ক্ষেত্রে অস্ত্রধারী রক্ষী বা গানম্যানের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।