কাজু কী সত্য়িই কাজের!

কম-বেশি সকলেই কাজুবাদাম খেতে ভালোবাসেন। অনেকে আবার পায়েস, মিষ্টি বা ডেজার্টে আলাদা স্বাদ যোগ করতে হলে যোগ করেন কাজুবাদাম।তবে, অনেকেই মনে করেন, কাজুবাদাম খেলেই নাকি ওজন বাড়ে। এটি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার ক্ষেত্রে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই বাদাম পুষ্টিগুণেও ভরপুর। সঙ্গে রয়েছে আরও বেশ কিছু গুণ।

যেমন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর কাজু। আপনি যদি অল্প পরিমাণে কাজু খান, তাহলে মিলবে সমস্ত পুষ্টিগুণ। পাশাপাশি আপনার সামগ্রিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।

এর পাশাপাশি কাজুবাদাম ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কাজুতে রয়েছে প্রো- অ্যান্থোসায়ানিডিন নামে এক ধরনের ফ্ল্যাভোনল, যা টিউমার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, কাজুতে রয়েছে কপার এবং প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন, যা এই মারণ রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

এদিকে আবার কাজুর মধ্যে রয়েছে অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই ফ্যাট আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি রাখে। কাজু পুষ্টি শোষণে ও হজমে সাহায্য করে।

শুধু তাই নয়, কাজু খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। দেহে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ওজনও বাড়ে। কিন্তু কাজু এই এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

একইসঙ্গে কাজুর মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম বায়োকেমিক্যাল রিয়েকশনে সাহায্য করে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং কাজ করার এনার্জি বৃদ্ধি করতে এবং গ্লুকোজ মেটাবলিজমে সাহায্য করে। ম্যাগনেশিয়াম ওজন কমাতে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

আরও বেশ কিছু গুণ আছে কাজুর। যেমন, কাজুর মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সাহায্য করে এবং পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এই ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে করে। পাশাপাশি মিষ্টি খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটা কমায়।

এছাড়াও কপার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাগুণে ভরপুর কাজু বাদাম ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। এদিকে কাজুতে উপস্থিত কপার অন্যান্য উৎসেচকের পাশাপাশি কোলাজেন তৈরি করে, যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 4 =