আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তের পাশাপাশি হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির বিষয়েও এবার একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই ও ইডি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তভার ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে সিবিআই। ওই মামলার নথিপত্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকারের সদ্যগঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। তদন্তে যোগ দিয়েছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি মামলায় নানা তথ্য খুঁজছে সিবিআই।
এদিকে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্টেজ বা বর্জ্য নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস অথারাইসডের। কী পদ্ধতিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য সংরক্ষণ ও নষ্ট করা হয় বা এগুলো কোথাও বিক্রি করা হয় কি না তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় এই দুই তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে তারা এও জানতে চাইছে, এগুলো বিক্রি করা হলে কী কী পদ্ধতি মানা হয় বা সরকারি গাইড লাইন-ই বা কী আছে এ ব্যাপারে। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সরকারি গাইড লাইন মানা হয়েছিল কি না আরজি করে তাও।
এদিকে সূত্রে খবর, শনিবার রাতেই বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস অথারাইসডের এক আধিকারিক সিবিআই দফতরে এসেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালের বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখা ওই এফআইআর দায়ের করেছে। আরজি কর হাসপাতাল এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, দু’জনের বিরুদ্ধেই হয়েছে এফআইআর। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এবার আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন কি না সন্দীপ তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।