তিলোত্তমার মা-বাবা ও কাকিমাকে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালের নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর প্রায় ঘণ্টা খানেক আরজি কর হাসপাতালে থাকার পর বেরিয়ে যান তাঁরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের থার্ড ফ্লোর অর্থাৎ ঘটনার অকুস্থলে তিলোত্তমার পরিবারকে নিয়ে যান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ঘটনার দিন পুলিশ তাঁদের কোথায় বসিয়ে রেখেছিল, তাঁরা কী কী দেখেছিলেন সবটাই খুঁটিয়ে জানতে চায় সিবিআই। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে ঘটনার অকুস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁরা কোন জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন সবটাই স্পষ্ট ভাবে জানতে চান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি আর ঠিক কী কারণে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় একাধিক ব্যক্তি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্রাইম স্পষ্টে। এই বিষয় নিয়ে যখন লাগাতার প্রশ্ন উঠছিল সেই সময় ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেই অংশ পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন (ঘেরা) করে রেখেছিল। যদিও, তিলোত্তমার বাবা আবার পুলিশের সেই দাবি খণ্ডন করে জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারকে সাড়ে তিনটের আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর তারপর যখন তাঁরা সেমিনার হলে পৌঁছন সেই সময় তাঁরা দেখেন সাদা কাপড় দিয়ে কোনও কর্ডন করা ছিল না। ফলত, মনে করা সিবিআই আধিকারিকরা এই গোটা বিষয়টিও জানার চেষ্টা করে থাকতে পারেন তদন্তের স্বার্থে।