আলমগীর সহ ৩ জনের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত

আলমগীর সহ ৩ জনের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত, রবিবার এমনই নির্দেশ আদালতের। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে শেখ শাজাহানের ভাই শেখ আলমগীর, তৃণমূল নেতা মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লাকে তোলা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭ টি ধারায় মামলাও রুজু করা হয়। এদিন আদালতে তাদের ১৪ দিনের হেফাজতের জন্য আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে আদালত ৫ দিনের হেফাজতে নির্দেশ দেয়।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শনিবার গ্রেপ্তার হয় শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। শনিবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তিনি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আলমগীরের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লা নামের আরও দুজনকে। তাঁরাও সন্দেশখালির বাসিন্দা। আলমগীরের সঙ্গে শনিবার ওই দুজনকেও গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ফলে ইডির উপর হামলার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭-এ।

উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। টানা ৫৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।

এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, কার নির্দেশে ইডির উপর হামলা হয়েছিল আর শেখ শাহজাহানকে গা ঢাকা দিতে কারা মদত দিয়েছিল এই ব্যাপারে আলমগীর-সহ দু’জনকে জেরা করে সমস্ত তথ্য জানতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। রবিবার আদালতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার দিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন আলমগীর। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র তুলে ধরেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

এদিকে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে শাহজাহান ৫৫ দিন নিঁখোজ থাকার সময়ে তাঁকে সাহায্য করেছিল এই আলমগীর। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনাতেও যুক্ত ছিলেন শাহজাহানের ভাই। আলমগীরের উপস্থিতির তথ্য প্রমাণও রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের হাতে। বিভিন্ন জায়গায় ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সেই তথ্য মিলেছে। একইসঙ্গে শাহজাহান মোবাইলে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তাও জানতে পেরেছে সিবিআই অফিসাররা। সেই সূত্র ধরে আলমগীরকে একাধিকবার তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। এরপরই শনিবার হাজিরার পর আলমগীর সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই।  যদিও এই সমস্ত প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি আলমগীর।

এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডির থেকে সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মেল্লা, দিদারবক্স মোল্লা এবং ফারুক আকুঞ্জিকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। গত ১১ মার্চ তাঁদেরকেও নিজাম প্যালেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

গত কয়েকদিনে সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির উপর হামলার ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। দফায় দফায় সন্দেশখালিতে গিয়ে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। শনিবারও সিবিআইয়ের একটি দল সন্দেশখালিতে যায় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এদিন সমান্তরালভাবে নিজাম প্যালেমে চলে আলমগীর সহ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =