ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন হয়ে গেল সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকার ও হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথের। ১৬ জুলাই থেকে হেফাজতে ছিলেন দুই পুলিশ কর্মী। তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে আদালতের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে নারকেলডাঙা থানায় তাঁরা আর কাজ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে নিহত অভিজিৎ সরকারের বাড়ির ত্রিসীমানাতেও ঘেঁষতে পারবেন না। কাউকে হুমকি দিতে পারবেন না। কোনও নথি নষ্ট করতে পারবেন না। মামলার শুনানির দিন নিয়মিত হাজির থাকতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিবিআইয়ের।
এদিনের শুনানিতে নিম্ন আদালত নিয়েও বেশ স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পাশাপাশি সিবিআইও কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর সাফ কথা, বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখা উচিত নিম্ন আদালতের। একই ইস্যুতে যখন অন্য এক অভিযুক্তের করা মামলায় হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ রাখছে নিম্ন আদালত মামলা মুলতবি রাখুক। এ দুই পুলিশ কর্মীকে এজলাস থেকে জেলে পাঠানো জুডিসিয়াল ডিসিপ্লিন নয়। মন্তব্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধামসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ ঘটনা। ২ মে বিকালে কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পুলিশের বিরুদ্ধেই তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় তথ্য–প্রমাণে লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। বিতর্ক রাজনীতির আঙিনাতেও। তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে।