এবার আদালতের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কারণ, এসএসসি কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় চাকরি বিক্রির অভিযোগের কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে। তবে এমন কোন নথিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এমন তথ্য পেল এবার তা জানতে চান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে তাঁদের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি বসুর। একই সঙ্গে এসএসসি–কেও উচ্চপ্রাথমিক কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা নিয়োগের মেধাতালিকা আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১জুলাই–এর মধ্যে সিবিআই–এর অবস্থান এবং এসএসসি–কে মেধাতালিকা পেশ করতে হবে। বস্তুত, উচ্চ প্রাথমিক বা আপার প্রাইমারিতে নিয়োগে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার যে ওয়েটিং লিস্ট ছিল, তা থেকে রাজ্যের তরফে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়। এই সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। এদিকে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়, স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সুপার নিউমেরারি পদে বা অতিরিক্ত পদে নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। তবে সেই স্থগিতাদেশ এখনও বহাল। এই মামলায় মঙ্গলবার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সওয়াল করে, সুপার নিউমেরারি পোস্ট কোনও চাকরি রক্ষার জন্য হতে পারে কিন্তু চাকরি দেওয়ার জন্য হতে পারে না। অপরদিকে, সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে উল্লেখ রয়েছে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পরীক্ষায় চাকরি বিক্রি হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘উচ্চপ্রাথমিকে কোনও সিবিআই তদন্ত নেই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষাতে। সিবিআই নিশ্চয় তদন্ত করতে গিয়ে এমন কিছু নথি বা তথ্য পেয়েছে, তার ভিত্তিতে এমন চার্জশিট দিয়েছে। সেই তদন্তের প্রক্রিয়া এবং নথি,তথ্য আদালত জানতে চায়।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১ জুলাই।