কৃষ্ণনগর পুরসভার নিয়োগে তথ্য যাচাইয়ের জন্য একগুচ্ছ নথি চাওয়া হল সিবিআইয়ের তরফ থেকে। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পাশাপাশি পুরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই তদন্তে নেমেই এবার পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সিবিআইয়ের হাতে।
সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার কৃষ্ণনগর পুরসভা ও শান্তিপুর পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় কলকাতায় সিবিআই অফিসে। কৃষ্ণনগর পুরসভার নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমেই এমনটাই আঁচ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আর এই সম্ভাবনা থেকেই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মূলত কতগুলি পদে নিয়োগের জন্য মঞ্জুরি হয়েছিল, কার মাধ্যমে অয়ন শীলের সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। একইসঙ্গে পুরসভায় নিয়োগের জন্য কত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন, কতজনের আবেদনপত্র গৃহীত হয়েছিল, কতজন পরীক্ষায় বসেছিলেন, কে কত নম্বর পেয়েছেন লিখিত পরীক্ষায়, সেই সব তথ্যও জানতে চেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, অয়ন শীলকে যখন ইডি গ্রেফতার করে, তখন তাঁর বাড়ি থেকে গাদা গাদা ওএমআর শিট পাওয়া যায়। এবার কৃষ্ণনগর পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিটও এবার যাচাই করে দেখতে চায় সিবিআই। পাশাপাশি ইন্টারভিউয়ের সময় কে কোন প্রার্থীকে কত নম্বর দিয়েছিলেন, সেই সংক্রান্ত নথিও পুরসভার থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সেই নথিগুলি কৃষ্ণনগর পুরসভাকে জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে আবার ২০০৯ সাল থেকে শান্তিপুর পুরসভায় কোনও নিয়োগই হয়নি। ২০১৮ সালে একবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মিলিয়ে ১৮টি পদে নিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমেই পরীক্ষা হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি। বুধবার পুরসভার তরফে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সেই সংক্রান্ত নথিও দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আপাতত শান্তিপুর পুরসভাকে তদন্তের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে।