গ্রুপ সি নিয়োগ মামলার তদন্তে তৎপরতা বাড়াল সিবিআই।গ্রুপ সি কর্মীদের তথ্য মধ্য শিক্ষা পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে, এমনাটই সূত্রে খবর। এই সংক্রান্ত এক চিঠি পর্ষদের কাছে পাঠানোও হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে, এমনাটই খবর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। এদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এই চিঠি পাওয়ার পরই তৎপরতা বেড়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও। আর তারই প্রতিফলন, পর্ষদের তরফ থেকে এবার জেলা পরিদর্শকদের থেকে দ্রুত এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানোর ঘটনায়। প্রত্যেক গ্রুপ সি কর্মীর নিয়োগের তারিখ ও ওই কর্মীর সম্পর্কে মন্তব্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পরিদর্শকদের। সূত্রে খবর মিলছে, নিয়োগ মামলায় এবার গোটা রাজ্যের গ্রুপ সি কর্মী বা ক্লার্করা সিবিআই-এর স্ক্যানারে রয়েছেন। প্রত্যেক গ্রুপ সি কর্মীর জয়েনিং রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা। এখানে কোনও বেনিয়ম ধরা পড়লেই সমস্যায় পড়তে পারেন ক্লার্করা।
এদিকে পর্ষদের তরফ থেকে এই নির্দেশ পাওয়ার পরই কাজও শুরু করে দিয়েছেন জেলা পরিদর্শকরাও। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের থেকে গ্রুপ সি কর্মীদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে পাঠাচ্ছেন জেলা পরিদর্শকরা। প্রধান শিক্ষকদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে পোর্টালের তথ্য মিলিয়ে দেখছেন জেলা পরিদর্শকরা। সবকিছুই যেন চলছে সুপার অ্যাকশন মোডে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলার শুনানি ও তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। গত নভেম্বেরর শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছে, ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে সিবিআই-কেও ডেডলাইন স্থির করে দেওয়া হয়েছে। ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এমন তৎপরতা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদ থেকে আমজনতাও।