আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে চল্লিশ মিনিটের রহস্য ভেদ করতে মরিয়া সিবিআই৷ গত ৯ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রথমবার ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ দেখেছিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এখনও পর্যন্ত তদন্তে সেরকমই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর এসে পৌঁছয় সকাল ১০.১০ মিনিটে।
সকাল সাড়ে ৯টায় মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ আউটপোস্টে খবর পৌঁছতে কেন চল্লিশ মিনিট সময় লাগল এবং ওই সময়ের মধ্যে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কিছু ঘটেছিল কি না আপাতত সেই রহস্যেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালের চারতলার ওই সেমিনার রুমে প্রথম বর্ষের এক পিজিটি পড়ুয়া সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ওই নির্যাতিতার দেহ প্রথম বার দেখতে পান। সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই তিনি একথা জানিয়েছেন প্রথমবর্ষের ওই পিজিটি পড়ুয়া। কলকাতা পুলিশকেও একই বয়ান দিয়েছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ওই সময় চেস্ট মেডিসিন বিভাগে কর্তব্যরত যাঁরা ছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরকে গিয়ে মৃতদেহ পড়ে থাকার কথা বলেন তিনি।
এখানেই তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এর পরেও কেন পুলিশ আউটপোস্টে খবর পৌঁছতে চল্লিশ মিনিট সময় লাগল তা নিয়েই। এই চল্লিশ মিনিটে কী হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ওই চল্লিশ মিনিটে হাসপাতাল থেকে কাদের কাছে ফোন গিয়েছিল, সেমিনার রুমে কারা কারা ঢুকেছিল, এই ধরনের প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
আরজি করে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর সেমিনার রুমের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে৷ উঠেছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ৷ যদিও সেই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে কলকাতা পুলিশ৷ কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়নি বলেও দাবি করেছে পুলিশ৷ সিবিআই-এর তদন্তকারীরা অবশ্য চল্লিশ মিনিটের রহস্যভেদ করতেই মরিয়া।