ঘটনার দিন সন্দীপরে গতিবিধি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকেরা

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে দেশজুড়ে। এদিকে সবথেক বড় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে আরজি কর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যে ফোন গিয়েছিল তা নিয়ে। কারণ, নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রথমে জানিয়েছিলেন মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বারবার ফোনে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কী হয়েছে তাঁদের মেয়ের। কিন্তু হাসপাতালের তরফে স্পষ্ট উত্তর তাঁরা পাননি। সেদিন ঠিক কী রকম ছিল সন্দীপ ঘোষের গতিবিধি তা  এবার খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রের খবর, সন্দীপ তদন্তকারীদের জানান  সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়িতে ছিলেন। স্নান করছিলেন। সেই সময়ে হাসপাতালের তরফে সুমিত রায় তপাদার তাঁকে ফোন করেন। তিনি স্নান করছিলেন, ফলে ফলে কল মিসড হয়। পরে তিনি কল ব্যাক করে। সুমিত তাঁকে দেহ উদ্ধারের কথা জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

এরপৎই প্রশ্ন ওঠে এই ফোন পাওয়ার পর কাকে কাকে ফোন করেন সন্দীপ তা নিয়েই। সূত্রের খবর সন্দীপ দাবি করেছেন, হাসপাতালে যেতে যেতে ওসি টালা, এমএসভিপি ও হাসপাতালের কয়েকজনকে ফোন করেন তিনি।ওসি (টালা)কে ফোনে পেয়ে তাঁকে ঘটনাস্থল সিকিউর করতে বলেন। ফোন করেন রোগী কল্যাণ সমিতির সুদীপ্ত রায়কে। চেষ্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকেও ফোন করেন বলে দাবি সন্দীপের। এরপর সকাল ১১টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, গাড়ির চালককে কখন ডেকেছিলেন সন্দীপ। বা গাড়ির চালকই বা  গাড়ি নিয়ে কখন তাঁর বাড়িতে যান তা নিয়েও। এই বিষয়গুলির সঙ্গে সন্দীপ ও যাঁদের তিনি ফোন করেছিলেন, তাঁদের সিডিআর, টাওয়ার লোকেশন দেখা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে। কিন্তু ঘটনার পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে এখনও একাধিক জায়গায় ধোঁয়াশা রয়েছে দাবি সিবিআইয়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + eleven =