এবার লালবাজারের সাইবার সেলে সিবিআই আধিকারিকেরা। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের প্রধান হাতিয়ার গেজেটের তথ্য। সন্দীপ ঘোষের বয়ান এবং পরিবারের বয়ানের অমিলের যোগসূত্র খুঁজতে তথ্যপ্রযুক্তির সন্ধানে সিবিআই। লালবাজার সাইবার সেলে তারই সন্ধান করতে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর এমনটাই।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে ও সাইবার সেল থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে লালবাজারে গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের গতিবিধি এবার সিবিআই নজরে। রাতে দু’বার তো বটেই দিনেও আরও দুবার আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিল সঞ্জয়। দিনে রাতে মিলিয়ে মোট চারবার হাসপাতালে যায় সঞ্জয়। বেলা একটা ও বিকেল পাঁচটায় দুবার হাসপাতালে ঢুকেছিল সঞ্জয়। এরপর রাত এগারোটায় ঢুকে হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টে যায়। এরপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মদ্যপান করে সে। এরপর শোভাবাজার ও চেতলা এলাকায় ছিল সঞ্জয়। জানা যাচ্ছে, রাত্রিবেলা আরজি কর থেকে বেরিয়ে সোনাগাছি ও চেতলাতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, সেখানেও বিরক্ত করেন মহিলাদের। পরক্ষণে ফিরে আসেন ফের আরজি করে। পৌঁছন ট্রমা কেয়ারের অপারেশন থিয়েটারে। সেখানে নাকি বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সূত্রের খবর, এরপর পৌঁছন এমার্জেন্সিতে। তারপর সেমিনার হলে যান। পরের দিন সকালে ‘দিদি’বলে কাউকে ফোন করেন তিনি। তদন্তে উঠে আসে এমনটাই। সঞ্জয়ের এই গতিবিধিতে তার সঙ্গে কারা দেখা করেছিল, কলকাতার রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা চিহ্নিত করতে চাইছে সিবিআই। সেই জন্যই লালবাজার সাইবার সেল এবং হোমিসাইড শাখায় সিবিআই আধিকারিকরা।
তবে এত কিছুর পরও কোনও রকম মনোবল ভাঙেনি অভিযুক্তর বলে খবর সূত্রের। উল্লেখ্য, তিলোত্তমার মৃত্যুর পর পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রকে। তবে ঘটনার পিছনে তিনি ছাড়াও অন্য কেউ থাকতে পারে বলে মনে করছে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।