জেলে গিয়ে সন্দীপকে জেরা করার নির্দেশ সিবিআইকে

তিলোত্তমা তদন্তে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। টালা থানার  সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেল সিবিআই। এর পাশাপাশি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর আধিকারিকদের দাবি, বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে, তাতে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। সে কারণে সন্দীপকে ফের হেফাজতে চায় সিবিআই।

প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার মূলকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সে কারণে ৯ অগাস্টে টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই ফুটেজ হাতে এসেছে। সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিতের মোবাইলও পাঠানো হয়েছিল সিএফএসএল-এ। এই দুটো বিষয়, মোবাইলের ডেটা সংগ্রহ করার পর সিবিআই- দাবি করছে, এমন কিছু তথ্য হাতে এসেছে, তাতে তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড় আসবে। সেই কারণেই দু’জনকে তিনদিনের জন্য হেফাজতে চায় সিবিআই।

ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ১৫ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ ভেঙে ভেঙে নিতে পারে সিবিআই। এর আগে ১১ দিনের জন্য সন্দীপ-অভিজিতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তিন দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। তারপর আবারও তাঁরা তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই।

তবে সিবিআইয়ের এই আর্জি ধোপে টেঁকেনি। বিচারক শুনানির সময় প্রশ্ন তোলেন, কেন জেলে গিয়ে সন্দীপকে জেরা করতে পারবে না সিবিআই তা নিয়েই। এই প্রশ্ন শুনেই আবেদন প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এদিন বিচারক জানান, ‘নিজেদের হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই, তা ফিরিয়ে নিতে পারে সিবিআই। আপনারা আবেদন পরিবর্তন করতে পারেন। সময় নিন। জেলে গিয়েই জেরা করতে হবে দু’জনকে।’ এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। এই আবেদন করতেই জামিন চেয়ে সওয়াল  অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর। তিনি আদালতে জানান, ‘জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন করছে সিবিআই। কিন্তু সিবিআই কী চাইছেন তা স্পষ্ট নয় আবেদনে। আমাদের জামিন দেওয়া হোক।’ এরপরই সিবিআই-এর আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘তদন্ত আমাদের মূল লক্ষ্য । অন্য আর কিছু না।’

এরপরই সিবিআই-এর আবেদন সংশোধন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিজিতের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘জেল হেফাজতের আবেদন না করে শুধু জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছে?’ সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, ‘উনি তো জেলে আছেন।অভিজিতের আইনজীবীর উত্তর, ‘ জেল হেফাজত শেষে আজ কোর্টে পেশ করা হয়েছে। ’ এরপরই ফের আবেদন সংশোধন করে সিবিআই।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =