নদিয়ার মুরুটিয়া থানার পুলিশ হেফাজতে বন্দির মৃত্যু মামলা।২ বছর আগের এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে উঠে এল আরজি করে খুন ও ধর্ষণের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ প্রসঙ্গও। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাঁর পর্যবেক্ষণ জানান, যেহেতু এর আগে এই মামলার ঠিক একইরকম আরও একটি ঘটনায় এর আগে ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই রায় সুপ্রিম কোর্টও বহাল রাখে।
তবে এটি দু বছরের পুরনো একটি মামলা। ২০২৩ সালের ২৬ অগস্ট। মামলাকারীর নাম মঞ্জুরা বিবি। তাঁর অভিযোগ ছিল, পুলিশ একটি মামলায় তাঁর ভাসুরকে ধরতে এসেছিল। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্বামী শওকত মণ্ডলকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরের দিন সকালে এলাকার একটি বাঁশ বাগান থেকে শওকতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ লক আপেই মারধরে মৃত্যু। এতে আদালতের দ্বারস্থ হন মঞ্জুরা। অভিযোগ, তারপর পুলিশ ওই মহিলার জা-কেও থানায় তুলে নিয়ে যায় অন্য একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে। সেই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই মহিলার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
মঞ্জুরা এরপর তাঁর স্বামীর মৃত্যু মামলাতেও সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, একটি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত করছে, তাহলে এই সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় সিবিআই কেন তা নিয়ে। এ প্রসঙ্গেই এই মামলায় গত শুনানিতে উঠে আসে আরজি কর মামলা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘আরজি করের খুন ও ধর্ষণ কাণ্ড সিবিআই পাওয়ায় তাদের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তাহলে কেন তেমনটা হবে না।’ চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।