আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ঘনিষ্ঠ এক এএসআই-এর বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। সূত্রের খবর, ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে ওই পুলিশ কর্মীর ঘরেই থাকতেন সঞ্জয়। ঘটনার আগে ও পরে সঞ্জয়ের গতিবিধি ও বডি ল্যাঙ্গোয়েজ জানতেই ওই পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
একইসঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, কী ভাবে একজন সিভিক হয়ে ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন সঞ্জয় তা নিয়েও। এ ব্যাপারেও খোঁজ নিয়েছে সিবিআই। কেন ওই পুলিশ কর্মী অভিযুক্তকে ঘরে থাকতে দিয়েছিলেন তাও জানতে চাইছে সিবিআই। ঘটনার আগে ও পরে সঞ্জয়ের সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মীর সাক্ষাৎ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুজনের ফোনে কথা হয়েছিল কিনা, কল ডিটেলস রেকর্ড থেকে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত সঞ্জয়ের মনস্তত্ব পরীক্ষা করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় সিবিআইয়ের বিশেষ দল।
চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সঞ্জয় ছাড়াও, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্যাতিতার সহকর্মী, সেই দিন দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদেরও। ঘটনার তদন্ত করতে শনিবার সঞ্জয়কে নিয়ে তার নিজের বাড়ি এবং পুলিশের ব্যারাকেও গিয়েছিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার এক দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হয় আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট ছিল যে, নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসককে। তাই সঞ্জয়ের কোনও মানসিক বিকৃতি আছে কি না তাও মনস্তত্ববিদরা খুঁজে বার করতে পারেন বলে মত বিশষজ্ঞদের।