প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিকাশ ভবনের গোডাউন থেকে তল্লাশি চালিয়ে চঞ্চল্যকর নথি উদ্ধার সিবিআইয়ের। সেই নথি অনুসারে, ২০১৪ সালে টেট অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন খোদ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রে খবর, ওই চাকরিপ্রার্থীরা যে পাশ করতে পারবেন না, তা ভাল করেই জানতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই অযোগ্য প্রার্থী তালিকায় ৭৫২ জনের নাম ছিল। তার মধ্যে চাকরি পেয়েছেন ৩১০ জন। এমনই খবর সিবিআই সূত্রে। আগামিদিনে জেলে গিয়ে এই নথি দেখিয়ে ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। এদিকে আবার এই নথিতে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। ফলে আরও অস্বস্তিতে পার্থ।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রোমোটার অয়ন শীলকে জেলে গিয়ে জেরা করার জন্য় আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সির আবেদনের বিরোধিতা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের আইনজীবীরা। এরপরই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও প্রোমোটার অয়ন শীলকে ‘শোন অ্য়ারেস্ট’ দেখানোর পর, এবার তাঁদের জেলে গিয়ে জেরা করতে চেয়েচিল CBI. সেই মতো জেলে গিয়ে তাঁদের জেরাও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসহ্গত, ২০২২-এর ২৩ জুলাই ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের দাবি, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তাই প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যাকে শোন অ্যারেস্ট করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যান সিবিআই আধিকারিকরা।