কলকাতা হাইকোর্টে আরজি করে দুর্নীতির মামলায় তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়ে তাঁরা জানান, ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে। এরপরই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন, ২৫ নভেম্বর সিবিআইকে তদন্তে অগ্রগতির নতুন রিপোর্ট দিতে হবে।
আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলার হাত ধরে উঠে আসে আরও এক সাংঘাতিক অভিযোগ। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসে। যদিও আগেই এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন মেডিক্যাল) আখতার আলি। তবে সে সময় সন্দীপের দাপটে সেই অভিযোগ খুব একটা দিনের আলো দেখতে পায়নি। কিন্তু আরজি করে ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের মামলার অনুষঙ্গে এই সব ঘটনাও সামনে আসে। ফলে ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের সঙ্গে আলাদা অভিমুখ পায় এই দুর্নীতি মামলাও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই দুর্নীতি মামলাতেই প্রথম গ্রেফতার হন সন্দীপ রায়। সিবিআই গ্রেফতার করে তাঁকে। এরপর ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ-খুন মামলাতেও শ্য়োন অ্যারেস্ট করা হয় তাঁকে।
এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগ ছিল, টেন্ডার দুর্নীতি, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ, হাসপাতালের বর্জ্য পাচার-সহ একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত সন্দীপ ঘোষ। এ নিয়ে আগে বারবার হাসপাতালে বিক্ষোভ হয়েছে, সুর চড়িয়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারাও। এই মামলায় নতুন করে সিবিআই-রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের।