‘কলকাতার নগরপাল এবং সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। কে আত্মহত্যার কথা বলেছিল পরিবারকে।’ এক্স হ্যান্ডেলে এমনই পোস্ট করতে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়কে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে যখন ফুঁসছে গোটা দেশ তখন শুরুতেই কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিতে সরব হতে দেখা যায় সুখেন্দু শেখরকে। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। শীতকালীন অধিবেশনে যাতে এ নিয়ে বিল পাশ হয় সে কথাও উল্লেখ করেছিলেন বলে খবর মিলেছিল। এর পাশাপাশি এবার সুর চড়ালেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও। এর পাশাপাশি সুখেন্দুর দাবি, স্বচ্ছভাবে সবটা সামনে আনুক সিবিআই। কেন হাসপাতালের ভিতরে ভাঙাভাঙি হয়েছিল, কেন তিন দিন পর স্নিফার ডগ আনা হয়েছিল সেই প্রশ্নও করেন তিনি। লেখেন, ‘এরকম শতাধিক প্রশ্ন রয়েছে। যেগুলির উত্তর চাই। তাঁদের বলতে বলুন এবার।’
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবিরারের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার চলে গিয়েছে সিবিআইয়ের কাছে। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তাঁর কাছ থেকে উঠে আসা নানা সূত্র ধরে চলছে তদন্ত। এদিকে ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন উঠলেও নিজের অবস্থান থেকে একবিন্দুও সরতে দেখা যায়নি বিনীত গোয়েলকে। বারবার স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, পুলিশ ঠিক পথেই তদন্ত করেছে। এমনকী খানিক রাগান্বিত হয়েই বলতে দেখা যায়, তাঁরা কাউকে লুকাচ্ছেন না। স্বচ্ছভাবেই তদন্ত করার চেষ্টা করেছেন। এখন তাঁরা সিবিআইকে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত। কলকাতা পুলিশ যে ঠিক ট্র্যাকে রয়েছে সেই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন খোদ পুলিশমন্ত্রী নিজেও। এমতাবস্থায় সুখেন্দুর খোঁচা দলের অস্বস্তি বেশ খানিকটা বাড়াবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের। তবে সন্দীপকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও ডাক পড়েনি বিনীত গোয়েলের।