পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের অভিযানে নামতে দেখা গেল সিবিআইকে। রবিবার সাত সকালে এক সঙ্গে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা। এছড়াও জেলায় জেলায় একাধিক তৃণমূল শাসিত পুরসভার পুরপ্রধান ও প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়িতেও সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা হানা দেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তৎপরতা দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা হিট’। ধরনায় চাপে পড়ে অন্যদিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টায় একের পর এক মরিয়া পদক্ষেপ বিজেপির।
টুইটে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে কুণাল এও লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা হিট হওয়ার কারণে বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে। তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র। তবে এই করে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।’ এরই পাশাপাশি সিবিআই-ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূল শিবির থেকে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকেরা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রীর বাড়ি দূর্গের মতো ঘিরে ফেলা হয়। একইসঙ্গে ভিতরে ঢুকেচলে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি। এরই পাশাপাশি কিছুক্ষণের মধ্যেই সিবিআই আধিকারিকেরা অভিযান চালান কামারহাটির বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে। পাশাপাশি তাঁর দক্ষিণেশ্বরের ফ্ল্যাটেও যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এছাড়া প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়ি, উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ি, টাকির চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি, দমদম পুরসভার পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংয়ের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআইয়ের দল। পাশাপাশি নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারেরও বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করে সিবিআই।