আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শিয়ালদহ আদালতে সোমবার তৃতীয় ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিল সিবিআই। তদন্তকারীদের একাংশের সূত্রে খবর, স্টেটাস রিপোর্টে নতুন করে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে ২০০টি ভিডিও ক্লিপকেও।
আদালত সূত্রে খবর, এর আগে আদালতে তিন পাতার ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধকারিকেরা তখন জানিয়েছিলেন, নতুন ২৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। হাসপাতালের আরও কিছু জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন করে তিন জনের কল ডিটেলস দেখা হচ্ছে বলেও আগের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল সন্দীপ এবং অভিজিৎকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আরজি কর-কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মামলায় দু’জনকেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই সময়মতো চার্জশিট জমা দিতে পারেনি।
ফলে ওই মামলায় দু’জনেই জামিন পান। তারই জেরে অভিজিতের জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে সন্দীপ এখনও জেলে।
তবে আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে একেবারে প্রথম থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল নির্যাতিতার পরিবার। কারণ, এই মামলায় প্রথম যে চার্জশিট সিবিআই দেয়, তাতে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয় রায়কেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই চার্জশিট অনুযায়ী বিচারপ্রক্রিয়া এগোয় এবং কলকাতা পুলিশের ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁকে আজীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় জড়িত নন। বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানান তাঁরা। একইসঙ্গে নির্য়াতিতার পরিবারের তরফ থেকে আদালতে এও জানানো হয় যে, সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তারা জানতে পারছে না। এরপরই মাসে তদন্তের অগ্রগতির প্রথম রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। দ্বিতীয় দফায় তিন পাতার ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমার পর সোমবার তৃতীয় ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দেয় বিআই।