আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ‘ঘনিষ্ঠ’ কলকাতা পুলিশের এএসআই অর্থাৎ অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর-এর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছিল সিবিআই। এএসআই অনুপ দত্ত নিজেও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, কারও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে হলে আদালত ছাড়াও সেই ব্যক্তির অনুমতি প্রয়োজন। এর আগে সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ধৃতের ‘ঘনিষ্ঠ’ অনুপকে। তবে প্রথম দিন সিবিআই দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে দৌড় দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার রবিবার ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় সিবিআইড-এর তরফ থেকে।
সিবিআইয়ের এই তলব পেয়ে রবিবার ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই দফতরে হাজিরা দেন অনুপ দত্ত। এদিন ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। একইসঙ্গে তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তাই রবিবার ফের তলব করা হয় তাঁকে।
এর আগে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তিনি ছাড়া আরজি কর-কাণ্ডে আরও ছ’জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছে সিবিআই। সিজিও দফতরেই হয়েছে তাঁদের পলিগ্রাফ পরীক্ষা। সেই তালিকায় রয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, ধৃত ‘ঘনিষ্ঠ’ এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার পড়ুয়া চিকিৎসক এবং অনুপ দত্ত।
আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে সন্দীপদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, কয়েক জন নিজেদের বয়ান বার বার বদল করেছেন। তাতে তদন্তের ক্ষতি হচ্ছে। তাই সত্য জানতে সন্দীপ-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। আদালত গত শুক্রবার সাত জনেরই পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দেয়। এবার সেই পলিগ্রাফ টেস্টের ফল ধরে অনুপ দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই।