সামান্য সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন সঞ্জয় রায়। এরপরও কীভাবে এত দাপুটে হয়ে উঠেছিলেন তিনি তার খোঁজ চালানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই–এর তরফ থেকে। একইসঙ্গে এ প্রশ্নের খোঁজও চলছে যে, সঞ্জয়রায়সিভিকভলেন্টিয়ারহয়েওকীভাবেপুলিশওয়েলফেয়ারবোর্ডেরব্যারাকেথাকততা নিয়েও। পাশাপাশি এ প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে,কীভাবেপুলিশকর্মীপরিচয়দিয়েঅবাধেবিভিন্নসরকারিহাসপাতালেরযত্রতত্রঘুরেবেড়াতসঞ্জয়তাও।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে খবর, সূত্রের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতেই কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবারই কলকাতা পুলিশের ওই আধিকারিককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব পেয়ে এ দিন দুপুরেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন অনুপ দত্ত৷ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছনোর সময় সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি সঞ্জয় রাইকে চিনতেন কি না তা নিয়েও। তবে প্রশ্ন শুনে মুখে কুলুপ আঁটার সঙ্গে আক্ষরিক অর্থে পড়িমড়ি করে ছুটে সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকে যান অনুপ দত্ত৷ সূত্রের খবর, আরজি কর কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন সিবিআই আধিকারিকরা৷
এদিকে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের গ্রেফতারির পরই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে৷ জানা যায়, সিভিক ভলেন্টিয়ার হলেও কলকাতা পুলিশের অন্দরে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিল সঞ্জয়৷ এমন কি, সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়েও কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের পুলিশ ব্যারাকে থাকত সে৷ কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের প্রশ্রয়েই সঞ্জয়ের এত বাড়বাড়ন্ত বলেও জানা যায়৷ সেই কারণেই ওই অফিসারকে এ দিন ডেকে পাঠায় সিবিআই৷ অভিযোগ, পুলিশ ওয়েলাফেয়ার বোর্ডের হয়ে কাজ করত সঞ্জয়৷ বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে অবাধ যাতায়াত ছিল তার৷ এই অনুপ দত্তই সঞ্জয়কে কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কাজে যুক্ত করতে প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ পুলিশের বাইক চড়েই ঘুরে বেড়াত সঞ্জয়৷ এমন কি, পুলিশকর্মীরাও সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়কে সমঝে চলতেন বলেই সূত্রের খবর৷