ইডি-র প্রধান হিসেবে সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির প্রধান হিসাবে সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদবৃদ্ধির আর্জি সুপ্রিম কোর্টে জানাল হল কেন্দ্রের তরফ থেকে। সূত্রে খবর, বুধবার কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই আবেদন জানানোর পাশাপাশি শুক্রবারের মধ্যে বিষয়টি শোনারও আর্জি জানানো হয়। এদিকে আদালত সূত্রে বর, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়়ে ৩টেয় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে। এর আগে ইডির ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়ের তৃতীয় বার মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশকে ‘অবৈধ’ বলেছিল শীর্ষ আদালত। তবে একইসঙ্গে আদালত এও জানিয়েছিল, ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে বহাল থাকতে পারবেন সঞ্জয়। অর্থাৎ, আগামী সোমবার কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা তাঁর।

ইডির ডিরেক্টর হিসাবে পর পর তিনবার সঞ্জয়ের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। যদিও শীর্ষ আদালতে শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি ছিল আর্থিক দুর্নীতির বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে রয়েছে ইডি। ফলে সে সব তদন্তের স্বার্থেই ডিরেক্টর হিসাবে সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে মামলাগুলির শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ওই তদন্তগুলির স্বার্থে অবসরের পরেও সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ কিছু সময়ের জন্য বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে তারপর আর মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না। ঘটনাচক্রে, ২০২১ সালের নভেম্বরে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট আইনে সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার। সংশোধিত বিধিতে বলা হয়েছিল, সরকার চাইলে সিবিআই প্রধান এবং ইডি ডিরেক্টরের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছরের জন্য বৃদ্ধি করতে পারে। সংশোধিত বিধির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, জয়া ঠাকুর, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। গত মে মাসে শুনানিতে তাঁর যুক্তি ছিল, ‘এই আধিকারিক (সঞ্জয়কুমার মিশ্র) কোনও রাজ্যের ডিজিপি নন। ইনি এমন এক আধিকারিক, যিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো একটি সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করছেন। এতে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’ পাশাপাশি এও জানান,‘আর্থিক তছরুপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি । রাষ্ট্রের স্বার্থেই তাঁকে প্রয়োজন। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর থেকে তিনি এ পদে থাকবেন না।’

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 16 =