কেন্দ্রের উচিত ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন প্রণয়ন করা, দাবি অভিষেকের

আরজি কর ঘটনার পরপরই কড়া অবস্থা নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, ধর্ষণে দোষীদের সমাজে থাকার কোনও অধিকার নেই। তাদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা উচিত। পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, কেন্দ্রের উচিত ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন প্রণয়ন করা ও ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার করা। এবার ফের এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে।

মঙ্গলবার বিধানসভা পাস হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল। ওই বিলকে সমর্থন করেছে বিজেপিও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেল করা একটি পোস্টে লিখেছেন, দেশে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর একটি করে ধর্ষণ হচ্ছে। সেই পরিসংখ্যান আগেই তুলে ধরেছি। ধর্ষণ বিরোধী টাইম বাউন্ড একটি আইন আনার দাবিও করেছি।

বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পাসের কথা উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, এবার কেন্দ্রকে এবার একটা কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা সে অর্ডিন্যান্স করেই হোক বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা সংশোধন করেই হোক ধর্ষণের কড়া ও দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার ও শাস্তি ৫০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচারের দাবিতে মঙ্গলবারও শহর জুড়ে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি চলে। অন্যদিকে সিপির সঙ্গে লালবাজারে দেখা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি ছিল সিপির পদত্যাগ। এনিয়ে লালবাজারে আলোচনা শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, সিপি-র পদত্যাগ চেয়ে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি। আমরা সিপি-র কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। যার সিপি-র কাছে কোনও সদর্থক উত্তর নেই। উনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট।  তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগেও রাজি সিপি। সিপি-র পদত্যাগের দাবিতে আমরা এখনও অনড়। অন্যদিকে, আরজি করে দুর্নীতি মামলায় আজ ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ  সন্দীপ ঘোষের।  তাঁর বিরুদ্ধে বায়েমেডিক্যাল ওয়েস্ট পাচার, সনাক্ত হয়নি এমন দেহ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি ওই দুর্নীতির পরিধি অনেক বড়। তাই সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করা উচিত।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + seventeen =