৬৯ রকম ওষুধের দামে লাগাম কেন্দ্রের

ওষুধের দামে লাগাম টানার নির্দেশ আগে থেকেই ছিল। ২০১৩-র ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার (ডিপিসিও) অনুযায়ী ধার্য ছিল দামের ঊর্ধ্বসীমা। তা সত্ত্বেও ২৪টি কোম্পানির ৬৯ রকম ওষুধের দাম ছিল সেই ঊর্ধ্বসীমারও ওপরে। এবার সেই সব ওষুধের দামে লাগাম টানল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই তালিকায় রয়েছে প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরলের সঙ্গে বেশ কিছু জ্বর-সর্দির ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিকও।

সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় এই সংস্থার ১২১তম বৈঠকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি ওষুধের দামে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়ে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সোমবার এই আদেশনামা জারি করেছে। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কোম্পানির সুগারের ওষুধ সিটাগ্লিপটিন, লিনাগ্লিপটিন ও তাদের সঙ্গে মেটফর্মিনের কম্বিনেশন, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ওলমিসার্টান, টেলমিসার্টান ও তাদের সঙ্গে অ্যামলোডিপিন কম্বিনেশন, কোলেস্টেরল কমানোর অ্যাটর্ভাস্ট্যাটিন, রক্ত পাতলা করার ওষুধ ক্লোপিডোগ্রিল, জ্বর-সর্দি-অ্যালার্জির প্যারাসিটামল ও ফিনাইল-এফ্রিন, ক্লোরফেনিরামাইন ম্যালিয়েট, মন্টিলুকাস্ট, ব্যথানাশক ডাইক্লোফিন্যাক ও অ্যাসিক্লোফিন্যাক, ফোলা কমানোর ট্রিপসিন ও কাইমোট্রিপসিন, রক্তপাত বন্ধের টিএক্সএ, ক্যালসিয়ামের ভিটামিন ডি-থ্রি, অ্যান্টিবায়োটিক অ্যামক্সিসিলিন, কো-অ্যামক্সিক্লেভ, মক্সিফ্লক্সাসিন, সেফিউরক্সিম, সেপফোডক্সিম, সেফট্রিয়াক্সোন, ট্যাজোব্যাক্টাম, মেরোপেনেম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আলফা-লিপোয়িক অ্যাসিড, স্টেরয়েড ডেক্সামিথাজ়োন ইত্যাদি।

ডিপিসিও-র দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ৫, ১১ ও ১৫ নম্বর ধারার বলে এই মূল্য কমানো হয়েছে। ২৪টি কোম্পানির যে ৬৯টি ব্র্যান্ডের ওষুধের খুচরো দাম (এমআরপি) এই বেঁধে দেওয়া ঊর্ধ্বসীমার চেয়ে বেশি, সেই সব ব্র্যান্ডের নির্মাতাদের অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার জন্য প্রয়োজনে বাজার থেকে ওষুধ তুলে নিয়ে নতুন দামে ফের বিপণন করার কথা বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 2 =