রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৭ মার্চের মধ্যে রাজ্যে ধাপে ধাপে দেড়শো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে। আপাতত প্রথম দফায় রাজ্যে এসেছে ১০০ কোম্পানি, পরের ধাপে আরও ৫০ কোম্পানি আসার কথা। প্রত্যেক জেলাকেই সমান গুরুত্ব দিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে সন্দেশখালিকাণ্ডের আবহে আপাতত উত্তর ২৪ পরগনায় সবথেকে বেশি বাহিনী রাখছে কমিশন। এরপর উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১ কোম্পানি, কলকাতায় ১০ কোম্পানি, হাওড়ায় ৯ কোম্পানি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯ কোম্পানি, হুগলিতে ৯ কোম্পানি, মালদহে ৭ কোম্পানি রাখা হয়েছে।
ভোটের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে, ভোটারদের মনোবল বাড়াতেই রাজ্যে দ্রুত এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলা পুলিশ সুপারের অধীনে থাকবে এই বাহিনী। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘মানুষের মনে ভয় রয়েছে। ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। সে কারণেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পঞ্চায়েত ভোটের মতো সব ভোট লুঠ হয়ে যাবে।’
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য স্কুলে স্কুলে হচ্ছে ক্যাম্প। তা নিয়েও আবার জলঘোলা শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে জেলা একাধিক স্কুলে এই ছবি ধরা পড়েছে। বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। নিয়মিত ক্লাস থেকে পরীক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছে দোলাচল। চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। এদিকে এখনও ভোটের বাকি বেশ কিছুটা সময়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ততদিন স্কুলগুলিতে এই অবস্থা চলবে কি না তা নিয়েই। এদিকে শিক্ষক সংঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল জানান, ‘ভোটের এক দেড়মাস আগে থেকে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে স্কুলে থাকতে শুরু করে তবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পড়ুয়ারা। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগে। উচ্চমাধ্যমিক শেষ হয়েছে একদিন আগে। পড়াশোনা অনেকদিন বন্ধ ছিল। এখন আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তো প্রায় দু’মাসের বেশি সময় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে।’