ভোট মিটলেও ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এখনও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারই জেরে ক্ষতির মুখে পড়ুয়ারা। কারণ এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওযা সম্ভব হচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে স্কুল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টর বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলারই শুনানি ছিল মঙ্গলবার। যেখানে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের মত, এবার ধীরে ধীরে সরানো হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারণ, সবার ওপরে শিক্ষা। যার ক্ষতি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য হাইকোর্টে জানায়, রাজ্যের এখনোও ৯৫ টি স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা মুশকিল। এদিকে আবার রাজ্যের অনেক স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে যাওয়ায় সেখানে পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যার তৈরি হয়েছে। রাজ্যের সওয়াল শুনে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন জানান, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করতে হবে। কারণ শিক্ষা সবার আগে।’
এদিকে এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি জানান, আদালতের তুলে ধরেন রাজ্যের এখনও কতগুলি স্কুল এবং কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তা নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী জানান, রাজ্যের ১২৫টি স্কুল এবং ১০৭টি কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। এই প্রসঙ্গেই মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, ‘বাহিনীর জন্য যে ব্যারাক আছে সেখানে এই বাহিনীকে স্থানান্তরিত করা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।’
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেই জায়গা গুলিতে রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত এলাকাও। এখন প্রত্যন্ত এলাকায় কি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা যেতে পারে এই প্রসঙ্গে রাজ্য আদালতে জানায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুল ছাড়া বিকল্প জায়গার সন্ধান পাওয়া মুশকিল।
সব পক্ষের সওয়াল শুনে ধীরে ধীরে বাহিনী প্রত্যাহারের পক্ষেই মত দেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। তিনি বলেন, ‘যেখানে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই সেখান থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করা যেতেই পারে। এভাবে দফায় দফায় বাহিনী প্রত্যাহার করা যায়।’