বিধাননগর পুরসভার পরিষেবায় মেয়র কৃষ্ণার সঙ্গে চেয়ারম্যান সব্যসাচীর কাজিয়া তুঙ্গে

বিধাননগর পুরসভার পরিষেবা ইস্য়ুতে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সঙ্গে চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের কাজিয়া তুঙ্গে। নাম না করেই বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায়, ‘কে কে সাপের ভূমিকা পালন করছেন, আপনারা জানেন।’ খুব স্বাভাবিক ভাবেই কৃষ্ণার এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এই প্রসঙ্গে বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত জানান, ‘বন দফতরে খবর দিন।’প্রসঙ্গত, বিধাননগর পৌরনিগমের পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যেই দলীয় কাজিয়া তুঙ্গে।

প্রসঙ্গত, এই বিতর্কের সূত্রপাত গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়ার সময়ে। ১০ জনের মৃত্যুর পরই বিস্ফোরক দাবি করে সব্যসাচী বলেন, ‘বিধাননগরে মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে তিনশোর বেশি বেআইনি বাড়ি রয়েছে। যা হয়েছে বর্তমান মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর আমলে।’ তবে কৃষ্ণা সম্পূর্ণ ভাবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তখন থেকে চাপা বিতর্ক ছিলই। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধাননগরে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই কাজিয়া।

সম্প্রতি পৌরনিগমেরই একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘মানুষই শেষ কথা বলেন। কে আপনার পাশে, কে আপনার পাশে নেই, কে ভাল কাজ করছে, কে সাপের ভূমিকা পালন করছেন, সেটা বুঝে গিয়েছেন। বিধাননগর মাথা উঁচু করে ছিল, উঁচু করেই থাকবে।’ কৃষ্ণার এই বক্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। কাকে ‘সাপ’ বললেন কৃষ্ণা। এদিকে নাম না করে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর বক্তব্য, যিনি এক  সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন, তিনি এখন নানা অভিযোগ করছেন। শুধু তাই নয়,  তাঁর চিরকুটও পৌঁছে যাচ্ছে হাইকম্যান্ডের কাছে।

এই প্রসঙ্গে বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের চিরকুট নিয়ে যাওয়ার কোনও বিষয় নেই। আমাদের চিরকুট ধরানোরও লোক নেই। একজন মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি দিয়েছেন, আবার তিনিই চিরকুট দিচ্ছেন।  এত তাড়াতাড়ি তাঁর চিরকুট গ্রহণ  করা যাবে না। ছিলেন কোনও ভাড়া করা দলের, এখন এসেছে আবার। এই ধরনের মানুষগুলো যদি বসে থাকে, তাঁদের বুলডোজার দিয়ে সরানো যায় না। এত বছর ধরে রাজারহাটে রাজনীতি করছি, রাজারহাটে আমাদের অনেক কিছু বলার আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 8 =