পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন মমতা ক্যাবিনেটের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের এই বাজেট যা বর্তমান সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৬ সালে যেহেতু বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তাই আগামী অর্থবর্ষে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করা হবে। এই বাজেটের আকার হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৯ কোটি টাকা বা প্রায় ৪৪.৯ বিলিয়ন ডলার। এবারের বাজেটে সমাজকল্যাণ, গ্রামীণ উন্নয়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে রাজ্য সরকার পরিকাঠামো ও কৃষি উন্নয়নে বরাদ্দ অনেক বাড়িয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হয়েছে ৪ শতাংশ। এই বর্ধিত ডিএ-র সুবিধা পাবেন পেনশনভোগীরাও।
এবারের বাজেট আয়তনে গত অর্থবর্ষের বাজেটের তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ বড়। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যা এবারে ৮৫ হাজার কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৯ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে হয়তো এবারের বাজেটের আয়তন কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বাংলার বাজেট হয়েছে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বিশ্বের অনেক দেশের জিডিপি ৪৫ বিলিয়ন ডলারও নয়। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে বা আফ্রিকার দেশ লিবিয়া কিম্বা আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপালের জিডিপি আয়তনে বাংলার বাজেটের তুলনায় কম।
২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বাংলার যে বাজেট তৈরি হয়েছে হিসাব কষে দেখা গিয়েছে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের জিডিপিও এত বেশি নয়। দক্ষিণ আমেরিকান দেশ প্যারাগুয়ের মোট জিডিপি ২০২৫ সালে ৪৪.৯ বিলিয়ন ডলার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দেশ লিবিয়ার মোট জিডিপি ৪৪.৮ বিলিয়ন ডলার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর যদি আমাদের প্রতিবেশি দেশ নেপালের কথা ধরলে দেখা যাবে সেদেশের জিডিপিও ৪৩.৭ বিলিয়ন ডলার।