কসবায় ঠিক কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। সাংসদ সত্যপাল সিংয়ের নেতৃত্বে দিল্লি থেকে আসছে বিজেপির এই ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। এদিকে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। এই প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে ফ্যাক্ট খুঁজতে কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যায় না?’
সাংবাদিক বৈঠক থেকে মন্ত্রী চন্দ্রিমাকে এ প্রশ্নও করতে দেখা যায়, ‘খুব ভাল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসছে। কিন্তু এটা কেবল এখানেই আসতে পারে। কিন্তু ওড়িশাতে ১০ দিনে পাঁচটা নির্যাতনের মামলা। কই সেখানে তো ফ্যাক্ট খুঁজতে কেউ যান না?’ একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘সরকার পক্ষ থেকে শিল্ড করছি না।’ এরপরই তিনি একটা ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, ‘এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির মহিলা মোর্চা আম্বেদকর নগরের প্রেসিডেন্ট ড্রিঙ্কল সিং, তিনি রাজ্যসভার প্রেসিডেন্ট ব্রিজলালের পায়ে পড়ছেন। তাঁর ওপরেও অত্যাচার হয়েছে, তিনি আইপিএস ব্রিজলাল সিংয়ের পায়ে পড়ে বলছেন, আমার ওপর অত্যাচার হয়েছে, কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না। এটা ওখানে হচ্ছে। আমার এখানে কিন্তু সেটা হয় না।’
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সাংসদ সত্যপাল সিং বলেন, ‘আমরা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। এই ধরনের ঘটনার থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হয় না। পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও দেখা হবে। আমি বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেবেন।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাজ্য পহেলগাঁওতে টিম পাঠাতে পারে, হাথরসে টিম যেতে পারে, কিন্তু অন্য দলের কোনও টিম আসবে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে না। মুখ্যসচিব দেখা করবেন না। ডিজিপি দেখা করবেন না। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।’
এদিকে, কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলেরই প্রশ্নের মুখে মদন মিত্র। তাঁকে শোকজ করেছে দল। সেই শোকজের আজই জবাব দেবে মদন মিত্র। তবে এরই মাঝে কামারহাটির বিধায়কের বার্তা, ‘কোনও ব্যক্তি নয়, দলই বড়।’