অবস্থান বদল, নবান্ন অভিযানে ‘না’ কংগ্রেসের

অরাজনৈতিক ব্যানারে প্রতিবাদের জন্য নবান্ন অভিযানের যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তা প্রথমে সমর্থন করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু অভিযানের আগের দিন অধীর চৌধুরীর গলায় সম্পূর্ণ উলটো সুর। নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে জানান, ‘কারা এই ছাত্রসমাজ, জানি না। আমাদের কেউ ডাকেনি।’ আগামী ২৯ অগাস্ট কংগ্রেসের তরফে আলাদা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের নামে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া এই সংগঠন আসলে কী বা কারাই বা এর সদস্য সেই সব পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। এমনকী রাজ্যে পুলিশের তরফেও সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, এই সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই, রেজিস্টার্ড সংগঠন নয়। তবে এরা কারা? অরাজনৈতিক ছাত্রদের ব্যানারে ২৭ তারিখের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েও তাদের পরিচয় নিয়ে এই প্রশ্নই তুলতে দেখা গেল প্রদেশ কংগ্রেসকেও। অধীপ এই প্রসঙ্গে জানান,’কারা এই ছাত্রসমাজ, জানি না। আমরা বলেছিলাম, আমাদের বললে থাকব। আমাদের কেউ বলেনি থাকতে। আমরা ছাত্র বলতে যাদের বুঝি, তাদের কথা ভেবে বলেছিলাম।’ অধীরকে সমর্থন জানাতে দেখা গিয়েছিল প্রদীপ ভট্টাচার্যকেও।

যদিও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী এও বলেন, ‘প্রশাসন যা আশঙ্কা করছে, নকল পুলিশ থাকতে পারে বলে, তাহলে সেটা খুঁজে বার করুক, কোথায় আসল পুলিশ, কোথায় নকল পুলিশ। আমরা তো জানি, সবই তৃণমূলের পুলিশ। আমরা তো দলের তরফেও অভিযান করেছি, নাগরিক সমাজের অভিযানেও গিয়েছি। কোনটা আইনি কর্মসূচি, কোনটা বেআইনি, সেটা যেমন পুলিশ প্রশাসন বলতে পারে, তেমনই আদালতের একটা বক্তব্য আছে যে, কোনও আন্দোলনে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ এর পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে এও জানানো হয়, আগামী ২৯ আগস্ট দুপুর ২ টোয় কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল হবে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে। দাবি একটাই, আরজি কর কাণ্ডে প্রকৃত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি চাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + thirteen =