গণনার আগের রাতে স্ট্রং রুমে বিজেপি নেতার প্রবেশ কেন্দ্র করার ঘটনায় তুলকালাম কোচবিহারের দিনহাটায়। প্রথমে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই ভাঙচুর করা হয় বিজেপি নেতার গাড়ি। অভিযোগ, সোমবার রাত আটটা নাগাদ বিজেপি নেতা অজয় রায় স্ট্রংরুমে ঢুকে পড়েন। এই খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ-সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা এলাকায় ঢুকলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে থাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্ট্রংরুমের বাইরে বিজেপি ও তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বাড়তে থাকে উত্তেজনা। এরই মাঝে ভাঙচুর করা হয় বিজেপি নেতার গাড়ি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর অভিযোগ, কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বিজেপির এক নেতা স্ট্রং রুমে ঢুকে পড়েছে। কী ভাবে ঢুকলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন উদয়ন গুহ। পাশাপাশি বিডিওর সাসপেন্ডের দাবিও করেন। এদিকে বিজেপি নেতা অজয় রায়ের বক্তব্য, ‘রিপোলিংয়ের ব্যালট ঢোকানোর জন্য দশটায় আমাদের আসতে বলা হয়। খবর পাই আটটার সময় স্ট্রং রুম খোলা হয়ে গিয়েছে। তাই এসেছি। প্রশাসন গোলমাল করছে।’ এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। মোট ৩৩৯টি কেন্দ্র সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোটের গণনা। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং একেবারে শেষে জেলা পরিষদের গণনা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হবে টেবিলেই। বকি দু’টো স্তরের ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রত্যেক স্তরে গণনা হবে দুই রাউন্ড করে। কিছু ক্ষেত্রে তা বাড়তেও পারে। অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট গণনা হবে মোট ৬ রাউন্ড।
রাজ্য নির্বাচন সমগ্র গণনা প্রক্রিয়াই চলবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। গণনা কেন্দ্রের টেবিলে থাকবেন বিডিও, একজন কাউন্টিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কাউন্টিং অফিসার এবং গণনা এজেন্ট। এছাড়া প্রতি গণনা কেন্দ্র ব্লকপিছু থাকবেন একজন করে অবজারভার ও জেলাপিছু একজন স্পেশাল অবজারভার। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্ট দু’জনেরই থাকার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে থাকতে পারবেন শুধুই প্রার্থী। সেক্ষেত্রে এজেন্টর থাকার কোনও অনুমতি নেই।