টাকা রাখলে দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে, এমনই আশ্বাস দিয়ে আদতে পাতা হয়েছিল এক প্রতারণার ফাঁদ। ঘুরে ফিরে সেই চিট ফান্ড কোম্পানির ঘটনা। এরপরই পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়তেই অবশেষে পুলিশের জালে প্রতারক। ঘটনা এয়ারপোর্ট থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, চিট ফান্ড সংস্থা খুলে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হল একজনকে। আইটি কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা পেশায় আইটি কর্মী সোয়েতা দত্ত ২০২১ সালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, আমিষ্টার নামক একটি কোম্পানিতে জনৈক মৃন্ময় পালের কথায় ২৪ লাখ টাকা জমা করেন তিনি। তাঁর কথায়, জনৈক ওই ব্যক্তি পরামর্শ দেয়, তার এই কোম্পানিতে টাকা রাখলে এই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। এই প্রলোভনে তিনি ২৪ লাখ টাকা জমা করেন। এর কিছুদিন পরেই মৃন্ময় পাল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পলাতক হয়ে যায়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে এয়ারপোর্ট থানার দ্বারস্থ হন ওই আইটি কর্মী মহিলা। ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ মৃন্ময় পালের কলকাতার অফিস গেলে জানতে পারে সেখান থেকে তিনি অফিস বন্ধ করে চলে গিয়েছেন। এরপরে বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অবশেষে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। সেখানে একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মৃন্ময় পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মৃন্ময় পাল চিট ফান্ড সংস্থা খুলে একাধিক মানুষের থেকে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করেছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে তদন্ত করে দেখছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
শহর জুড়েই এই ধরনের আর্থিক প্রতারণার কোম্পানি ব্যবসা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সাইবার ক্রাইমের উপর নির্ভর করে অথবা কোনও লোন বা আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এই ধরনের কোম্পানি প্রতারণার ফাঁদ পেতে ব্যবসা চালাচ্ছে। কোনওরকম আর্থিক লেনদেনের মাঝে বৈধতা রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে মানুষকে একাধিকবার সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে।