সিভিক ভলান্টিয়ারকে রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল সাত লক্ষ টাকা। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হতেই গ্রেফতার প্রতারক। পুলিশ সূত্রে খবর,অভিযুক্তের নম সুব্রত পাল। এদিে প্রতিনিয়ত রেলের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে কারও মাধ্যমে কেউ যেন চাকরির চেষ্টা না করেন। এমনকী প্যাসেঞ্জার ট্রেনেও শোনা যায় রেল দপ্তরের তরফ থেকে সচেতনতার বার্তা। সেখানে যে বার্তা দেওয়া হয় তার মর্মার্থ হল, টাকা দিয়ে চাকরির চেষ্টা যাতে কে না করেন। তবে এই সচেতনতার বার্তা আমজনতা ভুলে যান কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও এক চাকরি পাওয়ার খবর কেউ দিল। আর তা যদি দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক তাহলে সেটা না বিশ্বাস করার কোনও কারণও নেই। তবে গোড়াতেই গলদ। ফলে সিভিক ভলান্টিয়ারকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল তা ছিল পুরোটাই ভুয়ো। এরপরই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বুঝতে পারেন প্রতারিত তিনি হয়েছেন। এরপরই দায়ের হয় অভিযোগে। তাতেই ওই ভুয়ো সিবিই অফিসার পড়েন পুলিশের জালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৮ মে নারায়ণপুর থানার সিভিক অভিযোগ করেন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা সুব্রত পাল যে তাঁর কাছ থেকে পূর্ব রেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে পাঁচ দফায় সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভরসা আদায় করতে তাঁকে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার’-ও হাতে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এরপর তাঁকে চিৎপুরে রেলওয়ে সাইডিং কাজও করানো হয়। প্রায় সাতদিন কাজের পর সুব্রতবাবু তাঁকে মৌখিক আশ্বাস দেন, আগামীতে শিয়ালদহ পূর্ব রেলওয়ে দফতরে পোস্টিং করিয়ে দেবেন। এরপর অষ্টম দিনে যুবক চিৎপুরে রেলওয়ে অফিসের সামনে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই তিনি তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখা সেটিকে জাল বলে জানানো হয় রেলের তরফ থেকে। এরপরই নারায়ণপুর থানার দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে সুব্রত পালকে মধ্যমগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা,সরকারি নথি জালসহ একাধিক ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে সেই সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করছে নারায়ণপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।