‘দুর্মূল্যের বাজারে কর্মচারিদের সঙ্গে প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা করল’। রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘মাত্র ৪ শতাংশ দিয়েছে। যে ৪ শতাংশ জানুয়ারি মাসে কেন্দ্র বৃদ্ধি করেছে। ১৫ সালে পে কমিশন হয়েছিল, নতুন পে কমিশনের প্রস্তাব নেই। এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রায় ৩১, ৩২ শতাংশের ব্যবধান হয়ে আছে’।
বুধের বিকেলে বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৬ এর বিধানসভার আগে এটাই পূর্নাঙ্গ বাজেট রাজ্যের। সেখানে সরকারি কর্মচারিদের ডিএ বাড়ান নিয়ে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের ও একাধিক খাতে টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। তবে বাড়েনি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। এবারের বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখছে রাজ্য সরকার। এদিন বাজেট পেশের পরই বিধানসভার বাইরে রাজ্য সরকারের উপর তীব্র সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাজেট অধিবেশন ওয়াক আউট করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসকদলের উপর তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
রাজ্যের বাজেট পেশ নিয়ে এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘আজকের বাজেটে যা হল সেটা বেকার বিরোধী বাজেট। কোনরকম কর্মসংস্থানের উলেখ নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্পতে উন্নতি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটার পর তা পালন করে না তৃণমূল সরকার। বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য চাকরি নিয়ে কিছু বলা হয়নি আজকের বাজেটে।’ পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘তৃণমূল সরকার শুধু মুসলমান ভোট নিয়ে জেতে। গরিব মানুষদের বঞ্চনা করে ওরা। লক্ষ্মীর ভান্ডারে কোন বরাদ্দ করেনি রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে মহিলাদের ঠকানও হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা বাড়িয়ে অবিলম্বে ৫ হাজার টাকা করতে হবে।’ বাজেট পেশের পর এমনই শ্লোগানও তোলে বিরোধীরা।
উলেখ্য, আজকের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ চার শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এই ডিএ বাড়ায় একেবারেই খুশি নয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের উপর তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘৩৫ শতাংশ ডিএ বাকি থেকে গেল। ফলে হাতে ললিপপ ধরিয়ে দিল সরকার।’ বলাবাহুল্য কেন্দ্র সরকারের ডিএ এর সঙ্গে রাজ্যের ডিএ এর ফারাক এখনও ৩৫ শতাংশ।