সোমবার পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে। এদিকে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালত থেকে কোনও দিশা মিলবে কি না সেই দিকে নজর সব রাজনৈতিক দলের। এসবের মধ্যেই রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। সোমবার হাইকোর্টের শুনানি পর্বের আগে এই বৈঠক স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য কমিশনের তরফে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনীতেই অনুমোদন মিলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে। প্রথমে ২২ কোম্পানি ও পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কবে আসবে বা আদৌ আসবে কি না, সেই নিয়ে একটি ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে এখনও। এদিকে ভোট একেবারেই দুয়ারেই দাঁড়িয়ে। শনিবার ভোট। হাতে সময় এক সপ্তাহেরও কম সময়। সূত্রে খবর মিলছে , এমন অবস্থায় যদি বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে কী বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেই সব বিষয়গুলি নিয়েই কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের।
সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার পুলিশকর্মীর বন্দোবস্ত করা যেতে পারে। সেই দিকগুলি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বলে খবর। ফলে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সব মিলিয়ে এই ৮০ হাজার পুলিশ ফোর্স কি পর্যাপ্ত হবে কি না তা নিয়েও এই বৈঠকে কথাবার্তা চলছে বলে সূত্রের খবর। কারণ ভোট পর্বে অনেক কাজ থাকে বাহিনীর। বুথের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে এরিয়া ডমিনেশন, ভোটারদের আস্থা ফেরানো, রুট মার্চ। এই সব কিছু কাজের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কত সংখ্যক পুলিশ ফোর্স পর্যাপ্ত হবে তাও আলোচনা করা হচ্ছে এদিনের এই বৈঠকে।