আনন্দপুরে খালে ধারে ফের শিশু বিক্রির অভিযোগ। আর এই শিশু বিক্রির নয়া অভিযোগে তোলপাড় কলকাতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঠগড়ায় সদ্যোজাতর বাবা ও সৎ মা। সূত্রে খবর, এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করে। আনন্দপুর থানা সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম চুন্নু দাস ও সৎ মা অলোকা সরদার। পুলিশ চুন্নু, অলোকা ছাড়াও শিখা মুখোপাধ্যায়, পূর্ণিমা মণ্ডল, চৈতালি চক্রবর্তী-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সদ্যোজাতর সৎ মায়ের নাম নিলাম কুমারী। তাঁর স্বামীর নাম চুন্নু দাস। এই চুন্নু দাস আরও একটি বিয়ে করেছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী অলোকার সঙ্গে যোগসাজশ করে চুন্নু নীলমের সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বাড়ি থেকেই ২৩ দিনের সদ্যোজাতকে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে নীলমের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে সঙ্গে এও জানা গেছে, ২৩ দিন আগে শিশুকন্যার জন্ম দিয়েছিলেন নীলম। বাড়িতে সেই সন্তানও আনেন। প্রতিবেশীরা এসে দেখেও যায় নবজাতকের মুখ। প্রথম প্রথমে ছোট্ট কুড়ে ঘর থেকে সদ্যোজাতর কান্নার শব্দও শুনতে পেতেন দিবারাত্র। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই কান্নার শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। তাতেই সন্দেহ হয়েছিল প্রতিবেশীদের। এই মর্মে গত ১২ তারিখ আনন্দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির মা। এরপরই আনন্দপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, শিশুটিকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সদ্যোজাত কন্যা সন্তানটিকে উদ্ধার হয়েছে পুলিশ। সদ্যোজাতর বাবা ও সৎ মা ছাড়া ধৃতদের বাকিরা কোনও শিশু পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।